সুলতান’স ডাইনের কাচ্চি বিরিয়ানির মাংস নিয়ে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন কাকন রহমান খান নামের এক ভোক্তা। কাকন রহমান খান ফেসবুকে লেখেন, তিনি সুলতান’স ডাইন থেকে ৭টি কাচ্চি এনেছিলেন। খাবার সময় মাংসের হাড় দেখে সন্দেহ হয় তার। মাটন (খাসির মাংস) বলা হলেও তিনি অভিযোগ করে লেখেন, মাটনের হাড় এমন চিকন হয় না।
তবে অভিযোগ তোলা হলেও তা সত্য নয় বলে দাবি করেছে রেস্টুরেন্টটির মার্কেটিং কমিউনিকেশন অফিসার ববি রানি দাস। তিনি বলেন, ‘এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। এটা অনেক বড় ব্র্যান্ড। এক ক্রেতা বিড়ালের মাংসের বিরিয়ানির যে অভিযোগ করেছেন, তা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।’
তিনি বলেন, ‘যে অভিযাগ উঠেছে, তা করা হয়েছে আমাদের দুর্নামের জন্য। অভিযোগ পেয়ে যাওয়ার পর আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয়েছে। আসলে এই অভিযোগের কোনো মানে হয় না।’
তিনি বলেন, ‘‘ওই ক্রেতার পরিচয় আমরা জানি না। উনি খাবার নেয়ার ঘণ্টা দুয়েক পর আমাদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, ‘এগুলো কিসের মাংস দিয়েছেন, বিড়ালের মাংসের বিরিয়ানি।’ আমরা বলেছি, এটা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।’’
বুধবার(৮ মার্চ) বিকেলের পর থেকেই সুলতানস ডাইনের খাবার নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে অভিযোগ করতে থাকেন অনেকে।
দীর্ঘ স্ট্যাটাসে কাকন রহমান খান লেখেন, এই ঘটনার পর সুলতান’স ডাইনের গুলশান ২ এর নম্বরে কল দিয়ে জিজ্ঞেস করেন এটা কিসের মাংস ছিল? পরে তারা ২জন লোকসহ আবার খাবার পাঠায়। ওনাদের এজিএম আশরাফও আসেন নতুন খাবারের সঙ্গে।
তিনি লেখেন, আগের প্যাকের খাবারের হাড়ের সঙ্গে এবাবের মাংসের তুলনা করতে বললে এজিএম আশরাফ মানতেই নারাজ হয়ে বলেন, জেনেশুনে এমন মাংস দেয় না। তারা বলে, তাদেরকে যে ভেন্ডার মাংস দেয়, তারা আসলে কোন কিছু করতে পারে।
এরপর এজিএমকে প্রশ্ন করা হয়- তাহলে ভেন্ডরের কাছ থেকে মাংস নেয়ার সময় কি আপনাদের মত এত বড় ব্রান্ডের কোনো কোয়ালিটি কন্ট্রোল অফিসার নেই?
আপনি কি ২টা মাংস সেইম দেখতে পাচ্ছেন প্রশ্ন করলে ওনারা উল্টা প্রশ্নকরে তাহলে আপনারা কি দিয়ে মিটাতে চান? ইন্ডিরেক্টলী টাকা অফার করে এবং বলে আপনারা ঝামেলা করলে আমরাও জানি কি করতে হয়।
এরপর ৯৯৯ এ কল দেন ওই ভোক্তা। ৯৯৯ থেকে বলে বিএসটিআই এর নম্বরে অভিযোগ করতে।
এর আগে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে রাজধানীর নিরব হোটেলে গরুর মাংসের নামে কুকুরের মাংস বিক্রির অভিযোগ করেছিলেন এক ব্যক্তি। ফেসবুকে তার পোস্ট ভাইরাল হলে তখন ৪৮ বছরের নাজিম উদ্দিন রোডের ঐতিহ্যবাহী হোটেলটির খাবারের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
ওই অভিযোগ অস্বীকার করে কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে নিরব হোটেলের পক্ষে চকবাজার থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করা হয় তখন।
সাভারের আশুলিয়ায় ২০২২ সালের মে মাসে কুকুরের মাংস দিয়ে বিরিয়ানি বিক্রির অভিযোগ ওঠে ‘আল্লাহর দান বিরিয়ানি হাউজ’ নামের এক খাবারের দোকানের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় দোকানটির একজনকে আটকও করে পুলিশ। পরে অবশ্য প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় রোগ অনুসন্ধান গবেষণাগারে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা পরীক্ষা শেষে রিপোর্ট দেন, ওই দোকানের বিরিয়ানিতে কুকুরের মাংস ছিল না।
Leave a Reply