খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়িতে ৫ বছরের শিশুর ধর্ষণকারী আনু মিয়াকে (৫৫) গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭ এর একটি টিম।
ভুক্তভোগী ৫ বছর বয়সের শিশু খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি এলাকায় তার মায়ের সাথে বসবাস করত। ভিকটিমের মা একজন শ্রমজীবী মহিলা এবং প্রায় সময় বিভিন্ন কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করত। গত ৯ মার্চ আনুমানিক দুপুর ১:৩০ ঘটিকার সময় শিশুটি আসামী আনু মিয়ার নাতনির সাথে খেলাধূলার করার জন্য আনু মিয়ার বাড়িতে যায়। পরবর্তীতে ভিকটিম বাড়িতে ফিরে না আসায় ভিকটিমের মা তার মেয়েকে কোথাও খুজে না পেয়ে দুপুর ২:৪০ ঘটিকায় আনু মিয়ার বাড়ির দিকে যাওয়ার সময় তার মেয়েকে আনু মিয়ার বাড়ি হতে অস্বাভাবিক অবস্থায় বের হতে দেখে। ভিকটিমের মা তার মেয়েকে এই অবস্থার কারন জিজ্ঞেসা করিলে তার মেয়ে জানায় আনু মিয়া তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে এবং অনেক কষ্ট দিয়েছে।
পরবতীতে ভিকটিমের মা তৎক্ষণাৎ আসামী আনু মিয়াকে ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রথমে সে অস্বীকার করলেও পরবর্তীতে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এবং এই ধরণের ঘটনা আর কখনো করবে না বলে জানায় এবং উক্ত বিষয়ে কাউকে কিছু না বলার জন্য অনুরোধ করতে থাকে। ভিকটিমের মা বাড়িতে এসে বিষয়টি পরিবারের লোকজন এবং এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গের সাথে আলাপ-আলোচনা করে মুসলিম পাড়ার
মৃত আলী আশরাফের ছেলে মো.আনু মিয়াকে আসামি করে মানিকছড়ি থানায় ১১ই মার্চ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ২০০০ (সংশোধনী ২০২০) এর ৯(১) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন, যার নং ০৪।
র্যাব জানায়, গোপন সূত্রে জানতে পারে যে, আসামি আনু মিয়া আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি থানাধীন কালাপানি এলাকায় আত্মগোপনে আছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল গত ১৬ মার্চ দুপুর ১:০০ ঘটিকায় বর্ণিত স্থানে অভিযান চালিয়ে আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত লোকজনের সম্মুখে আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে বর্ণিত মামলায় পলাতক আসামি মর্মে স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
Leave a Reply