বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপিকে জনসভা করতে বাধা না দেওয়া আওয়ামী লীগের নতুন নাটক। বিএনপির কর্মসূচির দিন আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশ করে। আওয়ামী লীগের এই শান্তি সমাবেশের নাম শুনলেই মুক্তিযুদ্ধকালে পাকিস্তানি বাহিনীর গড়া শান্তি কমিটির কথা মনে পড়ে।
আজ রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এ সব কথা বলেন। ‘গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিকল্প নেই’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) একাংশ।
দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে এক দল আরেক দলকে বিশ্বাস করে না বলে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, যারা ক্ষমতায় যায়, তারা পরের বার ক্ষমতায় থাকতে নানাভাবে চেষ্টা চালায়। দেশের রাজনৈতিক সংকট দূর করতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রচলন করা হয়েছিল। জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
জাগপার একাংশের সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব এসএম শাহাদাতের পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, এনডিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বিকল্পধারা বাংলাদেশের অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারী, গণদলের এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী, ডিএলের সাইফুদ্দিন মনি, ন্যাপের এমএম শাওন সাদেকী প্রমুখ।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদেরকে আগের মতো জনসভা করতে বাধা দেওয়া হয় না। ওইটা আরেকটা শয়তানি। কিন্তু যখনই বলব আমরা এখন বের হব, মিছিল করব, প্রতিবাদ করব, বিক্ষোভ করব তখনই তারা (আওয়ামী লীগ) একটা শান্তি সমাবেশ দেয়। এই শান্তি সমাবেশ দিলেই আমাদের তখনকার শান্তি কমিটির কথা মনে পড়ে। ১৯৭১ সালে শান্তি কমিটি পাকিস্তানিরা তৈরি করেছিল, যারা মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করত, গ্রেপ্তার করত। সেইভাবে তারা প্রতারণা করছে, মানুষকে বোকা বানাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘এই অবস্থা থেকে আমরা উঠে আসতে শুরু করেছি। নাউ উই আর গিভেন রাইটস। আমাদের ১৭ জন প্রাণ দিয়েছে। আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়ে আছে। এখান থেকে আমাদের উঠে আসতে হবে। এটাকে আরও জোরদার করতে হবে, বেগবান করতে হবে। এবার রুখে দাঁড়াতে হবে। আর চুপ করে থাকা যাবে না। আমাদেরকে জেগে উঠতে হবে। জেগে উঠে আমার অধিকার আমাকে আদায় করে নিতে হবে, এদেশের মানুষের অধিকার আদায় করে নিতে হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা যে কেয়ারটেকার গভমেন্ট চেয়েছি, সেই কেয়ারটেকার গভর্মেন্ট দিতে হবে। বিএনপিকে ক্ষমতায় বসানো জন্য নয়, মানুষ তার অধিকার প্রয়োগ করুক, তার ভোট যাকে খুশি তাকে দেবে এবং সেখান থেকে একটা পার্লামেন্ট গঠন হবে।’
সরকার আবারও ষড়যন্ত্রের নির্বাচন করার পাঁয়তারা করছে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘তারা যে ষড়যন্ত্রের ফাঁদ তৈরি করছে আমরা সেই ফাঁদে আর পা দেব না। এবার দেশে আর কোনো ষড়যন্ত্রের নির্বাচন হবে না। বারবার ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান, এবার আর হবে না।’
Leave a Reply