চট্টগ্রামের পাহাড়তলী এলাকায় চতুর্থ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী নিখোঁজ হওয়ার ৮ দিন পর বুধবার (২৯ মার্চ) তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এর আগে মঙ্গলবার শিশুটির মা আদালতে মামলা করেন।
আদালত পাহাড়তলী থানাকে মামলার এজাহার নেওয়ার নির্দেশ দেন। ঘটনার ছায়াতদন্তে নেমে মঙ্গলবার রাতেই সন্দেহভাজন হিসেবে মো. রুবেল (৩৫) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। রুবেল ওই এলাকার তরকারি বিক্রেতা। বুধবার তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
পিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদে রুবেল বলেন, ২১ মার্চ ধর্ষণের পর শিশুটিকে তিনি হত্যা করেছেন। বিড়াল এনে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে নির্জনে নিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করে বস্তাবন্দি করে ডোবায় ফেলে দেওয়া হয়।
তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পাহাড়তলী থানার সাগরিকা বাই লেইন মুরগি ফার্ম আলমতারা পুকুর পাড় এলাকার ডোবা থেকে বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়।
পিবিআই কর্মকর্তারা জানান, প্রায় তিন মাস আগে আইনীনের মা-বাবার বিচ্ছেদ হয়। এরপর মেয়েকে নিয়ে নগরীর পাহাড়তলী এলাকায় বাবার বাসায় থাকতে শুরু করেন আইনীনের মা। সেখানে একপর্যায়ে রুবেলের সঙ্গে তাদের পরিচয় হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক ইখতিয়ার উদ্দিন বলেন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে রুবেল ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটের পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা সাংবাদিকদের জানান, বিষয়টি অবগত হওয়ার পর থেকে রুবেলকে নজরদারিতে রাখা হয়। কিছু তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহের পর মঙ্গলবার রাতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়।
নাইমা সুলতানা বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে রুবেল স্বীকার করে, মেয়েটিকে ২১ মার্চ সে (রুবেল) কাজিরদীঘি এলাকায় একটি পরিত্যক্ত ভবনের চারতলায় নিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ বস্তায় ভরে ডোবায় ফেলে দেয়। এরপর থেকে ডোবায় প্রতিদিনই লাশটি দেখতে যেত। ডোবায় লাশ থাকার বিষয়টি কেউ যেন বুঝতে না পারেন, সেজন্য খড় দিয়ে প্রতিদিন লাশ ঢেকে দিয়ে আসত রুবেল।’
Leave a Reply