নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানাধীন বাস্তুহারা এলাকায় ভাতিজার বিরুদ্ধে আপন চাচার জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। মো: আবু তাহেরের ক্রয়কৃত ২১ গন্ডা জমির প্লট থেকে তার ভাই নূরুল আলমের ছেলে তৌহিদুল আলম স্থাপনাসহ প্রায় ৫ গন্ডা জমি দখলে নিয়ে সেখানে কয়েকজন সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোককে বসিয়ে দখল ধরে রাখার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন মর্মে জানা যায়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ১৯৭৯ সালের ৩০ নভেম্বর
মো: আবু তাহের আকরাম খাতুন গং থেকে ১৭৭০৬ নং দলিল মূলে ৪২ শতক জমি খরিদ করেন। কিন্তু বিএস জরিপের সময় ভুলবশত উক্ত জমির বিএস খতিয়ান আবু তাহেরের পিতার নামে সৃজিত হয়। উক্ত বিএস খতিয়ান সংশোধনের জন্য আবু তাহের বাদী হয়ে ২০০৫ সালে ১৮৫/২০০৫ নং মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলা চলমান রয়েছে। আবু তাহের ২০১০ সালে প্লটের ৫গন্ডা জায়গার উপর দোকান এবং গোডাউন নির্মাণ করেন। তখন থেকে তিনি উক্ত স্থাপনা যথাযথ ভোগ দখলে রয়েছেন। কিন্তু ২০২১ সালের ৭ই সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে তৌহিদুল আলম সন্ত্রাসী দলবল নিয়ে ২টি দোকানগৃহ এবং গোডাউন দখলে নিয়ে দখল স্থায়ী করতে নজরুল এবং জাফর নামের ২ জন সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোককে ভাড়াটিয়া সাজিয়ে সেখানে বসায়।
এই ব্যাপারে আবু তাহের বলেন, আমি ৪২ শতক জমি ক্রয় করেছি, আমার কাছে সব দলিলপত্র রয়েছে। বিএস জরিপে ভুল এসেছে মানে তো আমার মালিকানা নেই সেটা প্রমাণ করে না। আর তৌহিদ যদি আইনগতভাবে মালিক হতো তাহলে এভাবে রাতের অন্ধকারে হামলা করে জবরদখল করতো না। বর্তমানে যাদেরকে দখলে বসিয়ে রেখেছে তাদের পক্ষে নজরুল নামের লোকটি বলেছে ১০ লক্ষ টাকা দিলে দখল ছেড়ে চলে যাবে। এই কথাই তো প্রমাণ করে তারা ভূমিদস্যু ও দখলবাজ। প্রশাসনের কাছে আমার বিনীত অনুরোধ এই অবৈধ দখলদার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে, আমার জমি দখলমুক্ত করা হউক।
কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন যাবত এই জায়গায় দোকান এবং গ্যারেজ নির্মাণ করে আবু তাহের ভোগ দখলে ছিলেন। হঠাৎ করে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এক রাতে
আবু তাহেরের ভাতিজা তৌহিদ লোকজন নিয়ে কয়েকটি দোকান দখলে নিয়ে সেখানে নজরুল এবং জাফরকে ঢুকিয়ে দেন।
কিসের ভিত্তিতে এখানে দোকান করেন জানতে চাইলে নজরুল বলেন, আমি নিয়মিত ভাড়া দিয়ে দোকান করি। জায়গার মালিক তৌহিদের সাথে আমার ভাড়াটিয়া চুক্তি আছে। ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা পেলে দোকান ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন তিনি।
তৌহিদুল আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি আমার দাদীর নিকট থেকে ২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর হেবামূলে উক্ত জায়গার মালিক হয়েছি। আমার চাচা নিজ থেকে জায়গা বুঝিয়ে দিচ্ছে না তাই দখলে নিয়েছি। হেবা দলিলে উল্লেখিত খতিয়ানের যেই দাগ উল্লেখ করা হয়েছে সেই দাগে তো খালি জমিও রয়েছে তাহলে স্থাপনাসহ জায়গাটা কেন দখল করা হয়েছে এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি কোন উত্তর দিতে পারেননি।
Leave a Reply