চট্টগ্রামের বায়েজিদ এলাকায় পাহাড় কেটে গড়ে তোলা সানমার প্রোপার্টিজের ২৬ তলা বিলাসবহুল ভবন নির্মাণ কার্যক্রম কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
চট্টগ্রাম নগরীর জালালাবাদ বায়েজিদ বোস্তামী লিংক রোডে সানমারের প্রকল্পটি ‘গ্রিন পার্ক রেসিডেন্স’ নামে বিক্রি করা হচ্ছে। বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট ছয়জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সোমবার বায়েজিদ এলাকার বাসিন্দা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নূরুল আলমের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল হারুন ভুইয়া রাসেল। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
এর আগে পাহাড় কেটে ভবন নির্মাণ নিয়ে ‘জরিমানা-বিধিনিষেধ কিছুই ঠেকাতে পারেনি তাদের’ শিরোনামে একটি দৈনিক পত্রিকায় গত ১৪ জুন সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে তা যুক্ত করে রিট দায়ের করেন নূরুল আলম।
প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, চট্টগ্রামের বায়েজিদে আড়াই বছর আগে ২৬ তলার বিলাসবহুল ভবন নির্মাণকাজ শুরু করে সানমার প্রোপার্টিজ লিমিটেড। শুরুতেই এক হাজার বর্গ ফুট পাহাড় কাটার অভিযোগে আবাসন প্রতিষ্ঠানটিকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছিল পরিবেশ অধিদপ্তর। ওই সময় কাটা পড়া পাহাড় আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা এবং পূর্বানুমতি বা ছাড়পত্র ছাড়া ভবন নির্মাণ না করার নির্দেশনাও দেওয়া হয়। কিন্তু সানমার প্রোপার্টিজ লিমিটেড এসব নির্দেশনার তোয়াক্কা না করেই ভবন নির্মাণের কাজ চালিয়ে যায়।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বলেছে, পাহাড়ের ওপর বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের অনুমোদনের সুযোগ নেই।
Leave a Reply