চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বারশত ইউনিয়নের কালিবাড়ি এলাকার দারুত তাহফিজ মডেল হাফিজিয়া মাদ্রাসায় আজ শুক্রবার(১৯ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় মাদ্রাসা শিক্ষকের কক্ষের জানালায় থেকে মুহাম্মদ ওমাইরের (৯) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
উমাইর উপজেলার বটতলী ইউনিয়নের আইরমঙ্গল মাইজপাড়া মোহাম্মদ সৈয়দের ছেলে। সে ওই মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র। ঘটনার পর বিকেল ৩টায় পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চারতলা বিল্ডিংয়ের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলা ভাড়া নিয়ে তিনজন হুজুর বালক-বালিকা নাম দিয়ে মাদ্রাসাটিতে শিক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছে। দ্বিতীয় তলায় বালিকা আর তৃতীয় তলায় বালক শিক্ষার্থীরা রয়েছে।
মাদ্রাসার সিসি ক্যামরায় দেখা যায়, ওই মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ এমরানের কক্ষে সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটের দিকে ওমাইর প্রবেশ করে। এরপর ১০টার দিকে জানালার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।
ওমাইরের সহপাঠী মো. আনাস (৯) বলেন, বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে ও শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল ৭টায় ওমাইর আমাকে বলেছে সে মরে যাবে। কেন মরে যাবে প্রশ্ন করলে সে জানায়, আমি বাড়িতে মায়ের কাছে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বড় হুজুর আমার আম্মুকে ফোন দিচ্ছে না, তাই মরে যাব।
মাদ্রাসার পরিচালক হাফেজ আবদুর রহমান বলেন, মাদ্রাসাটিতে ৮৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। শিশু ওমাইর নাজারা বিভাগের ছাত্র, এক সপ্তাহ আগে সে এখানে ভর্তি হয়। সকালে সে সবার সঙ্গে নাস্তাও করেছে। এরপর ১০টার দিকে মাদ্রাসার শিক্ষকের কক্ষের জানালার সঙ্গে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। এ সময় ওই কক্ষে কেউ ছিল না। পরে আমি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও পুলিশকে খবর দিই।
আনোয়ারা থানার ওসি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, বারশত ইউনিয়নের একটি প্রাইভেট মাদ্রাসা থেকে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। মাদ্রাসা থেকে সিসিটিভির একটি ভিডিও ফুটেজও পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শিশুটি আত্মহত্যা করেছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
Leave a Reply