জঙ্গি ও শীর্ষ সন্ত্রাসী ছাড়া সাধারণ কাউকে ডান্ডাবেড়ি না পরানোর বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র মেনে চলতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ বিয়য়ে এক রিটের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন মানবাধিকার আইনজীবী ও বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. মাকসুদ উল্লাহ।
আদেশের পর রিটকারী আইনজীবী ব্যাারিস্টার কায়সার কামাল সাংবাদিকদের জানান, শীর্ষ সন্ত্রাসী, দুর্ধর্ষ জঙ্গি ছাড়া বন্দিদের আদালতে হাজিরা বা অন্যত্র আনা-নেওয়ার পথে ডান্ডাবেড়ি পরানো যাবে না বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ২০২২ সালের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রন্ত পরিপত্র কঠোরভাবে অনুসরণ করতে আদেশ দিয়েছেন আদালত।
তিনি বলেন, রুলে শীর্ষ সন্ত্রাসী ছাড়া সাধারণ বন্দিদের ডান্ডাবেড়ি পরানো কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়েছেন আদালত। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সরকারের সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি এ রুলের ওপর শুনানির দিন রেখেছেন আদালত।
শুনানিতে একাধিক আসামিকে একের পর এক ডান্ডাবেড়ি পরানোর বিষয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের সামনে আনেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। এসময় আদালত বলেন, একটা নীতিমালা করে দেবো। মানুষকে রক্ষা করতে হবে।
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলায় ছাত্রদল নেতা মো. নাজমুল মৃধাকে ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় তার বাবার জানাজায় অংশ নেওয়ার ঘটনায় করা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট এ আদেশ দেন।
ছা্ত্রদল নেতা মো. নাজমুল মৃধার বিষয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, প্যারোলে মুক্তি পেয়ে ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় বাবার জানাজায় অংশ নেন ছাত্রদল নেতা মো. নাজমুল মৃধা। মির্জাগঞ্জের পশ্চিম সুবিদখালী গ্রামে ওই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার সময় নাজমুলের হাতকড়া খুলে দেওয়া হলেও খোলা হয়নি পায়ের ডান্ডাবেড়ি।
মো. নাজমুল মৃধা পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। জানাজা শেষে তাকে আবার পটুয়াখালী জেলা কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
Leave a Reply