চট্টগ্রাম জেলা নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন(রেজি: নং-২২১৩) দখলে নিয়ে লুটপাট করার জন্য আদালত ও শ্রম অধিদপ্তরকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কথিত নির্বাচনের অপচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে কতিপয় সন্ত্রাসী ও ভূয়া সদস্যদের বিরুদ্ধে। এই কথিত নির্বাচনের প্রধান আয়োজক হলেন চট্টগ্রাম শ্রম আদালতের সদস্য মো: শহীদুল্লাহ।
০২/০৩/২০২৪ ইং তারিখে অনুষ্ঠতিব্য এই কথিত নির্বাচনে সভাপতি পদপ্রার্থী ছফি উল্লাহ খাঁন, সি: সহ সভাপতি পদপ্রার্থী মো: শহীদ উল্লাহ শহীদ, সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী জাহেদুল হক, সহ সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মো: জুয়েল এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদপ্রার্থী মহিন উদ্দীনসহ সবাই বহিরাগত সন্ত্রাসী। এদের মধ্যে কেউ ইউনিয়নের সদস্য নয়।
জানা যায়, চট্টগ্রাম জেলা নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের (রেজি: নং-চট্ট-২২১৩) ০২/০৩/২০২৪ ইং তারিখে অনুষ্ঠতিব্য তথা- কথিত ও অবৈধ নির্বাচনের কার্যক্রম বন্ধ করতে নির্দেশ দেওয়া হলেও উক্ত নির্দেশের তোয়াক্কা না করে কথিত নির্বাচন কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ায়
সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম ২৫/০২/২০২৪ ইং তারিখে পুনরায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের পরিচালকের নিকট লিখিত অভিযোগ প্রদান করলে নির্বাচনের কার্যক্রম বন্ধে ব্যবস্থা নিতে শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, সিএমপি পুলিশ কমিশনার, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক এবং কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জের জ্ঞাতার্থে
২৮/০২/২০২৪ ইং তারিখে দপ্তরের পরিচালক মো: গিয়াস উদ্দিন স্বাক্ষরিত চিঠি প্রেরণ করেন।
জানতে চাইলে শ্রম আদালতের সদস্য মো: শহীদুল্লাহ বলেন নির্বাচনের আয়োজন আমি করিতেছি না, সদস্যরা নির্বাচন করতেছে। পরে হুমকি দিয়ে প্রশ্ন করে বলেন, নির্বাচন হলে সাংবাদিকের সমস্যা কি? আবার বলেন এটা নওফেল সাহেবের ( শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল) সংগঠন। নির্বাচন উনি করাচ্ছেন, কিছু জানার থাকলে উনার কাছ থেকে জানতে।
জানতে চাইলে কথিত নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী জাহেদুল হক নিজেকে চলমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক দাবি করে বলেন আব্দুর রহমান গাড়ী ভাংচুর মামলার আসামি,দীর্ঘদিন জেলে ছিলো। ইউনিয়নে তার কোন স্থান নেই। নওফেল সাহেবের নির্দেশে আমরা নির্বাচন করতেছি।
ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেন, অবৈধ ও কথিত নির্বাচনের মাধ্যমে ইউনিয়ন দখলে নিয়ে লুটপাট করতে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা অফিস ভাংচুর করে আমাদেরকে বের করে দিয়েছে। আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে।ইউনিয়ন নিয়ে আমি কথা বললে আমাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আদালতে ২টি মামলা চলমান, এছাড়া শ্রম অধিদপ্তরের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তারা নির্বাচনের নামে তামাশা করতেছে। এতবড় একটা সংগঠন নিয়ে টালবাহানা বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনে দায়েরকৃত রীট পিটিশন নং- ৭৩৭২/২০১১ এবং ৪৩১৬/২০১৪ এর ৮/০৭/২০১৪ ইং তারিখে প্রদত্ত রায়ে মহামান্য হাইকোর্ট ডিভিশনের বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ৩১৭(৪)(ঘ) ধারা প্রতিপালন করা বিষয়ক নির্দেশনা মোতাবেক ইউনিয়নের কার্যকরী কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আয়োজিত সাধারণ সভা/ বিশেষ সাধারণ সভা, নির্বাচনী তপশীল ঘোষণা ও প্রকাশ, সঠিক ভোটার তালিকা প্রস্তুত, মনোনয়নপত্র দাখিল- বিতরণ- গ্রহণ – বাছাই- বাছাই ইত্যাদি কার্যক্রম শ্রম অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু এই কথিত নির্বাচনে এসব বিধিনিষেধ মানা হচ্ছে না।
Leave a Reply