চট্টগ্রাম বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসে সেবা প্রদানে বিভিন্ন অনিয়ম, ঘুষ গ্রহণ, দুর্ব্যবহারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক সজেকা চট্টগ্রাম-১ হতে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। দুদক টিম আনসার সদস্য আমানুল্লাহ, পুলিশের কনস্টেবল রিয়াদ ও ইমন বড়ুয়ার বিভিন্ন অনিয়মে সম্পৃক্ততা পান।
বৃহস্পতিবার(৭ মার্চ) দুদকের সহকারী পরিচালক মো এমরান হোসেনের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের একটি টিম এই অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানকালে প্রথমে দুদক টিম ছদ্মবেশে পাসপোর্ট অফিসে কোন অনিয়ম আছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করেন। তাঁরা পাসপোর্ট করতে আসা সেবাগ্রহীতাদের সাথে কথা বলেন। এ সময়ে কাউন্টার, ছবি এবং ফিংগারপ্রিন্ট সংগ্রহের কক্ষ পরিদর্শন করেন। আনসার সদস্য আমানুল্লাহ, পুলিশের কনস্টেবল রিয়াদ ও ইমন বড়ুয়ার বিভিন্ন অনিয়মে সম্পৃক্ততা পান। একই সময়ে গেইটের সামনে থেকে একজন দালালকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়।
অভিযোগকারী ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সেখানে আসেন। তাকে সাথে নিয়ে পরিচালকের সাথে সাক্ষাৎ করে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ২জন স্টাফ শওকত আলী মোল্লা এবং জসীম উদ্দীনকে ডাকা হয়। দুর্ব্যবহারের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পরিচালককে অবহিত করা হয়। এছাড়া পুলিশ এবং আনসার সদস্যকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাহার করার জন্য পরিচালককে অবহিত করেন।
আটককৃত দালাল মহসিনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিচারের জন্য পরিচালক পাসপোর্টের কাছে সোপর্দ করা হয়। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট দুইজন স্টাফের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে দুদককে অবহিত করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
Leave a Reply