নগরের ইপিজেড থানাধীন নারিকেল তলা এলাকায় শিলপাটা নিয়ে স্বামী মো. শাহীনকে হত্যার দায়ে স্ত্রী বিউটি আক্তারকে গ্রেপ্তার করা করেছে পুলিশ।
স্ত্রী বিউটি আক্তার (২৮), নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া থানার কোনাপাড়া ফজলু মেম্বারের বাড়ীর মৃত মো.জিতু মিয়ার মেয়ে এবং স্বামী মোঃ শাহীন একই এলাকার মাঞ্জিল হকের ছেলে। তারা নগরের ইপিজেড থানার নারিকেল তলা হাজী মঈনুদ্দীন বিল্ডিং ৪র্থ তলায় রুম ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন।
৩০ মার্চ রাত অনুমান ০৭.৩০ ঘটিকায় নগরীর ইপিজেড থানাধীন নারিকেল তলা হাজী মইনুদ্দিন বিল্ডিং এর চতুর্থ তলার ৪১ নং রুমে বাদী মোঃ মারুফ মিয়া (১৮) এর সৎ মা বিউটি আক্তার (২৮) এবং তার বাবা মোঃ শাহীন এর মধ্যে ঝগড়া বিবাদ সহ হাতাহাতি হয়। উক্ত ঝগড়া বিবাদ চলাকালীন তাদের মাঝে হাতাহাতির এক পর্যায়ে বিউটি আক্তার তার বাসায় থাকা মসলা বাটার শীলের পাটা নিয়া ভিকটিম মোঃ শাহীন (৩৫) এর দিকে ছুড়ে মারলে ভিকটিম মোঃ শাহীন আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং পাটাটি ভেঙে দুই টুকরা হয়ে যায়। ঐ অবস্থায় বিউটি আক্তার (২৮) পুনরায় পাটার ভাংগা টুকরা দিয়ে ভিকটিম মোঃ শাহীন এর মাথার পিছনে বাম পাশে সজোরে আঘাত করলে তার মাথার পিছনের বাম পাশে ফাটিয়া রক্তাক্ত জখম হয়। পরবর্তীতে বিউটি আক্তার (২৮) পাটার ভাংগা টুকরা দিয়া ভিকটিমের পিঠে, দুই হাতে ও দুই পায়ের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে জখম করে।
উক্ত সংবাদ পেয়ে বাদীর সঙ্গীয় জাহিদ মিয়া (৪২) ও মোঃ জানু মিয়া (৪৪) ঘটনাস্থলে গিয়ে বাদীর বাবা মোঃ শাহীনকে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। বাদীর বাবা মোঃ শাহীন (৩৫) হাসপাতালের ২৮ নং ওয়ার্ডের ১১নং বেডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার(১ এপ্রিল) ভোর ০৫.১০ ঘটিকায় মারা গেলে নগরীর ইপিজেড থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়।
এ সংক্রান্তে সিএমপির বন্দর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মহোদয়, জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার জনাব মাহমুদুল হাসান ও ইপিজেড থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব মোহাম্মদ হোসাইনের নেতৃত্বে ইপিজেড থানার একটি চৌকস টিম ১ এপ্রিল ২১:৪৫ ঘটিকায় থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বিউটি আক্তার কে গ্রেফতার করেন। বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়।
Leave a Reply