চট্টগ্রামে ৪টি চেক প্রতারণার মামলায় ২ বছর ৯ মাসের সাজা মূলে কারাগারে পাঠানো হলো বিশ্বজিৎ বনিককে। ২৯শে আগস্ট( বৃহস্পতিবার) আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জানা যায়, তার বিরুদ্ধে ২০১৫ সালে ৪টি চেক প্রতারণার মামলা হয়। যার একটি আপীল মামলা নং-২৩৮/২০১৫, এই মামলাটিতে চট্টগ্রাম ৫ম যুগ্ম মহানগর জজ আদালত মাননীয় বিচারক মাে: শহীদুল ইসলাম এই আদেশ দেন। আদেশ নং-৬১, ২৭/০৮/২০২৪ইং। আদেশে বলা হয়- শচীন্দ্র বনিক’র ছেলে মামলার দন্ডিত আসামী বিশ্বজিৎ বণিক, পক্ষে বিজ্ঞ কৌশলী নথি উপস্থাপনসহ উচ্চ আদালত পিটিশন দায়েরের শর্তে আত্মসমপর্ণ পূর্বক জামিনের আবেদন ও নথিপত্রসহ জামিনের দরখাস্ত শুনানীর জন্য নেওয়া হয়। রাষ্ট্রপক্ষের বিজ্ঞ কৌশলী জামিন দরখাস্তের বিরােধীতা করেন। তা পর্যবেক্ষন ও পর্যালােচনা করে দেখা যায় যে, দণ্ডিত আসামী বিশ্বজিৎ বনিককে ১৪ই আগস্ট ২০২৩ইং তারিখে আদালত কর্তৃক এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও বিশ লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করা হয়। এছাড়া ১৪ আগস্ট চেকের বিপরীতে ৫০% টাকা চালান মূলে জমা প্রদান পূর্বক আপীলের র্শতে জামিন লাভ করে এবং চট্টগ্রাম মহানগর জায়রা জজ আদালত ফৌজদারী আপীল ১০৬৬/২০২৩ দায়ের করা হয়।
পরবর্তীতে আপীল দায়েরের পর চট্টগ্রাম অতিরিক্ত মহানগর ৩য় দায়রা জজ আদালত হতে আপীল না মঞ্জুর হয়, মূলনথি অত্র আদালতে প্রেরণ করা হয় এবং নথি প্রাপ্তির পর আসামী বিশ্বজিৎ বনিককে উপস্থিত থাকতে আদেশ দেওয়া হয়। আসামী আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিনের আবেদন করলে আসামী দণ্ডপ্রাপ্ত বিধায় আদালত জামিন নামঞ্জুর করে সাজা বহাল রাখেন। সাজাপ্রাপ্ত অত্র আদালতের জামিন দেওয়ার এখতিয়ার নাই মর্মে আদেশে বলা হয়। যেহেতু আসামী দণ্ডপ্রাপ্ত সেহেতু আসামীকে জামিন না মঞ্জুর করার জন্য আদেশে বলা হয়। তাই বিজ্ঞ আদালত জামিনের যােগ্য মনে না করে আদালত আসামীকে সাজা পরােয়ানা মূল কারাগারে প্রেরণ করেন।
আসামী বিশ্বজিৎ বনিকের বিরুদ্ধে দায়রা মামলা নং-২৩৮২/২০১৫, ১৮৬৭ ও ২০২৫ মূলে চট্টগ্রাম যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালত (৫ম) ১বছরের সাজা দেন। অপর মামলা নং ২৯২৪/১৫ মূলে ৩ মাস ও ২৪৭৯/১৫ মামলা মূলে ৬ মাস মােট ৪টি মামলায় সর্বমোট ২ বছর ৯ মাসের দন্ডপ্রাপ্ত হয়ে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন।
মামলার বাদী সমকাল পত্রিকার ডি.জি.এম সুজিত কুমার দাশ’র পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সিনিয়র আইনজীবী এডভােকেট এম. আবু সাঈদ। জানা যায় ২০১৫ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এই মামলা পরিচালনা করতে গিয়ে বাদীর অপূরণীয় ক্ষতি সাধিত হয়েছে। আর অন্যান্য মামলায় বিশ্বজিৎ বনিক ছাড়া অপর আসামী মরহুম ডাঃ রায়হান উদ্দীনের ছেলে মাে: ফখরুদ্দীন আহমেদ সাজা পরােয়ানা নিয়ে পলাতক রয়েছেন।
Leave a Reply