চট্টগ্রাম শহরে বসবাসরত আনোয়ারা উপজেলার পরৈকোড়া ইউনিয়নের জনগণের ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠায় হাঁটি হাঁটি পা পা করে গড়ে উঠা পরৈকোড়া ইউনিয়ন সমিতি-চট্টগ্রাম’র উদ্যোগে সমাজ সংস্কারক ও শিক্ষানুরাগী আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী স্মৃতি মেধাবৃত্তি সনদ সম্মাননা বিতরণ ও আলোচনা সভা সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিকাল ৪টায় মাঝিরঘাট মোড়স্থ চট্টগ্রাম লাইটারেজ হলে সমিতির সভাপতি লায়ন সুজিত কুমার দাশের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল হুদা চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বক্তব্য রাখেন আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী স্মৃতি মেধাবৃত্তির পরিচালক সাদেক এহতেশাম চৌধুরী, পরৈকোড়া ইউনিয়ন সমিতি- চট্টগ্রামের কার্যকরী সভাপতি আলহাজ্ব মো. জামাল উদ্দিন আনসারী, অর্থ সম্পাদক গোকুল দত্ত, সাংগঠনিক সম্পাদক হান্নান রহিম তালুকদার, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য ব্যাংকার ইরফানুল ইসলাম, সেলিম উল্লাহ, ব্যবসায়ী মো. হোসেন, মাহাতা পাটনীকোঠা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় শিক্ষক মানিক মিয়া, ছাত্র-ছাত্রী যথাক্রমে হাবিবুল ইসলাম, হামিদুর রহমান, ফাহমিদা সুলতানা, ফারজানা আক্তার, মিনহাজ চৌধুরী, চট্টগ্রাম লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়ন সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আজগর হোসেন তালুকদার প্রমুখ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বর্ষাকালে অল্প বৃষ্টিতে পটিয়া-চন্দনাইশ থেকে শ্রীমাই খাল ও মুরালী খাল দিয়ে ঢলের পানি নেমে পরৈকোড়া ইউনিয়ন ডুবে যায়। ফলে জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। কিন্ত পানি নামার কোন সু-ব্যবস্থা নেই। ১০/১৫ দিন বা ১ মাসেরও অধিক সময় ধরে অতীতে সম্পূর্ণ একটি ইউনিয়ন পানির নিচে তলিয়ে থাকতে দেখা যায়। এ কারণে কৃষকের ক্ষেত- খামার, গবাদি পশুর ক্ষতি হয়। জনগণের ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট সম্পূর্ণরূপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে। পরৈকোড়া ইউনিয়নের জলবদ্ধতা নিরসনে সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান।
বক্তারা গ্রাম্য শালিস বিচার ব্যবস্থায় টাউট- বাটপার শালিস বেপারীর দৌরাত্ব্য বৃদ্ধিতে উদ্বেগ জানান। টাকার বিনিময়ে শালিসে যাওয়ার একটি সংঘবদ্ধ চক্র গড়ে উঠেছে- যাহা কিশোর গ্যাং এর অপ তৎপরতাকে হার মানায়। সামাজিক ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে জনগণকে ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান। পরৈকোড়া ইউনিয়নের ২টি উচ্চ বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা সমূহের ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার মান মোটেও সন্তোষজনক নয়। পরিচালনা কমিটিগুলো স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় নিয়মনীতি মেনে গঠন করা হয়নি, স্বার্থান্বেষী মহল নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে বৈষম্য সৃষ্টি করে সবকিছু তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে যায়। ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক, শিক্ষকদের- শিক্ষা ক্ষেত্রে তৎপরতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সর্বাত্মক চেষ্টা চালানোর আহ্বান জানানো হয়।
বক্তারা নৈতিক শিক্ষাসহ সুশিক্ষার মাধ্যমে একটি সভ্য জ্ঞাননির্ভর সমাজ বির্নিমাণে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর অবদানের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
Leave a Reply