চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্টস এসোসিয়েশনের সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যবস্থার গৌরবময় ৫০ বছরের ইতিহাসকে ভূলুণ্ঠিত ও কলংকিত করে নির্বাচনের মনোনয়ন সংগ্রহে বাধা ও হামলার অভিযোগ উঠেছে। “বৃহত্তর সিএন্ডএফ এজেন্ট ঐক্য পরিষদ” এর নামধারী গুটিকয়েক এজেন্ট তাদের পূর্ব নির্ধারিত সদস্য ছাড়া সাধারণ এজেন্টদের বৃহত্তম সংগঠন “সমমনা পরিষদ” এর কোন সদস্যকে মনোনয়ন সংগ্রহ করতে দেয়নি। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটলে নির্বাচন কমিশন ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি মনোনয়ন সংগ্রহের সময় পুনঃ নির্ধারণ করেন। কিন্তু ২৯শে জানুয়ারিও একই ঘটনা ঘটে। ২৯টি পদের বিপরীতে ২৯টি মনোনয়ন ছাড়া কাউকে মনোনয়ন নিতে দেওয়া হয়নি। ৩০শে জানুয়ারি অর্থাৎ শেষদিনেও যদি এমন ঘটনা ঘটে তাহলে পূর্ব নির্ধারিত ২৯জন প্রার্থীই বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় বিজয়ী হওয়ার ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন হবে ।
প্রায় ২ হাজার ৮শত নিবন্ধিত ভোটারের এই সংগঠনে ভোটারদের বঞ্চিত করার অপচেষ্টার বিষয়ে সমমনা পরিষদের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির পক্ষে প্রবীণ মুক্তিযোদ্ধা এস.এম মোয়াজ্জেম হোসেন, এম এ সাত্তার, এস এম চৌধুরী রাজু, মো: আবুল হাসেম, সিরাজ উদ্দীন আহমদ, মিচ্চু সাহা, আবদুল গণি, উৎপল রক্ষিত এবং বদিউজ্জামান খান এক যৌথ বিবৃতিতে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ ব্যক্ত করে বলেন, বৈষম্য বিরোধী নতুন বাংলাদেশের সূচনালগ্নে সাধারণ সদস্যদের ভোটে ও আস্থায় বারবার বিজয়ী সমমনা পরিষদকে নির্বাচনে অংশগ্রহণে বাঁধা দেওয়ার মধ্য দিয়ে এসোসিয়েশনের গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যকে ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছে। দেশের সকল ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক পরিবেশ গড়ে তোলা ও চর্চার প্রক্রিয়াকে কলংকিত করা হলো যা বৈষম্যকে প্রতিষ্ঠিত করার অপচেষ্টার শামিল।
বিবৃতিতে আরো উল্লেখ করা হয়, দীর্ঘ ৫ দশক ধরে এসোসিয়েশনের সদস্যদের তিল তিল শ্রমে গড়ে ওঠা ২৮০০ শ্রমিকের কল্যাণে নিবেদিত এই সংগঠনকে ধ্বংস করার পাঁয়তারা শুরু হলো এই ঘটনার মধ্য দিয়ে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মনোনয়ন সংগ্রহে বাঁধা দিয়ে স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে নস্যাৎ করার প্রক্রিয়া শুরু হলো। এই ধরনের ঘটনার পরেও নির্বাচন কমিশন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অস্বাভাবিক নীরবতায় ব্যবসায়ী সমাজ আতংকিত। সদস্যদের ভোটাধিকার ক্ষুন্ন করার এই ধারাকে ব্যবসায়ী সমাজের জন্য অশনিসংকেত উল্লেখ করে বলা হয় এটি সদস্যদের জীবন-জীবীকা ও পেশাগত মর্যাদার সাথে সাংঘর্ষিক। আগ্রাবাদস্থ সিএন্ডএফ টাওয়ারের নির্বাচন অফিসে ২৭ ও ২৯ জানুয়ারি সমমনা পরিষদের প্রার্থীরা মনোনয়ন সংগ্রহ করতে গেলে গুটিকয়েক এজেন্ট পেশীশক্তি ব্যবহার করে তাদেরকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ জানিয়ে অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সুনিশ্চিত করার জন্য প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন ও শ্রম অধিদপ্তরের যুগ্ম পরিচালকের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। একতরফা প্রহসনের নির্বাচনকে প্রত্যাখান করে পুনঃ নির্বাচনী তপশীল ঘোষণার দাবী জানান সমমনা পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
Leave a Reply