1. admin@chattogramsangbad.net : chattomsangba :
  2. editor@chattogramsangbad.net : editor :
চট্টগ্রামের বাঁশখালীর কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হবে এপ্রিলে - দৈনিক চট্টগ্রাম সংবাদ
September 15, 2024, 11:41 pm

চট্টগ্রামের বাঁশখালীর কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হবে এপ্রিলে

রিপোর্টার নাম
  • আপডেট সময় : Saturday, January 14, 2023
  • 105 বার পড়েছে

বাঁশখালী প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের বাঁশখালী সমুদ্র উপকূলে স্থাপিত দেশের বেসরকারি খাতে সবচেয়ে বড় কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র গতকাল শনিবার জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। আগামী এপ্রিলে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি উৎপাদনে যাওয়ার ঘোষণা এসেছে। এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন সক্ষমতা ১৩২০ মেগাওয়াট। চালু হলে কেবল এখানে উৎপাদিত বিদ্যুৎ দিয়েই বৃহত্তর চট্টগ্রাম অর্থাৎ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) দক্ষিণ জোনের চাহিদা মিটানো সম্ভব হবে।

দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপ ও চীনা প্রতিষ্ঠান সেপকো-এইচটিজি যৌথভাবে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করছে। বঙ্গোপসাগরের তীরে বাঁশখালীর গন্ডামারায় ৬০৬ একর জমিতে গড়ে উঠছে এ বিদ্যুৎকেন্দ্র। দুই ইউনিটের প্রতিটির উৎপাদন ক্ষমতা ৬৬০ মেগাওয়াট। উৎপাদিত বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য বাঁশখালী থেকে চট্টগ্রামের মদুনাঘাট জাতীয় সঞ্চালন লাইন পর্যন্ত ১৯৮টি টাওয়ার বসানো হয়েছে। মদুনাঘাট সাব-স্টেশনে যে গ্রিড আছে, সেই গ্রিডে ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সঞ্চালিত হবে। সঞ্চালন লাইনটি তৈরি করেছে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি)।

শনিবার( ১৪ জানুয়ারী) সকালে বাঁশখালীর উপকূলীয় গন্ডামারা এলাকার ‘এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট’ পরিদর্শনে যান সরকারিভাবে গঠিত ব্যাকফিড কমিটির ৯ সদস্য। কমিটির প্রধান পিজিসিবির প্রধান প্রকৌশলী মোরশেদ আলম খান সুইচ অন করে জাতীয় গ্রিডের ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইনের সঙ্গে বিদ্যুৎকেন্দ্রের সংযোগ স্থাপন করেন। এর মধ্য দিয়ে এসএস পাওয়ার
প্ল্যান্ট থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়।

পিজিসিবির প্রধান প্রকৌশলী মোরশেদ আলম খান বলেন, প্রকল্পের কাজ ৯৭ শতাংশ শেষ হয়েছে। বাকি তিন শতাংশের মধ্যে আছে রাস্তা ও নালা তৈরির কাজ। দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেটাও শেষ হয়ে যাবে। এপ্রিল মাসে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করা যাবে বলে আমরা আশা করছি। বাংলাদেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন ও শিল্পায়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এ প্রকল্প।

কয়লাভিত্তিক প্রকল্প হলেও পরিবেশ দূষণের সম্ভাবনা নেই জানিয়ে তিনি বলেন, এটি সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির প্রকল্প। এ প্রযুক্তিতে কম কয়লা পুড়িয়ে বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়। নতুন এ প্র্রযুক্তির মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প গড়ে উঠছে। এখানে পরিবেশ দূষণের কোনো সম্ভাবনা নেই।

বিদেশি ব্যাংকের অর্থায়নে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগে বড় কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র বাংলাদেশে এটাই প্রথম। এ কেন্দ্র বাণিজ্যিক উৎপাদনে গেলে অন্যান্য কয়লাভিত্তিক প্রকল্প থেকে নেওয়া বিদ্যুতের দামে প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

গত বছরের জুনে বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিদর্শন করেছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। এ সময় তিনি পরবর্তী ছয়মাসের মধ্যে অর্থাৎ গেল বছরের ডিসেম্বর থেকে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরুর কথা বলেছিলেন।

২০১৬ সালে বেসরকারি খাতের সবচেয়ে বড় এ বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের লক্ষ্যে পিডিবির সঙ্গে এসএস পাওয়ারের চুক্তি হয়। ওই বছরই বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ যৌথভাবে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিন পিং।

চুক্তি অনুযায়ী, এ প্রকল্পের ৭০ শতাংশের মালিকানা থাকছে বাংলাদেশের শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের ছয়টি প্রতিষ্ঠানের। অবশিষ্ট ৩০ শতাংশের মধ্যে সেপকো ২০ শতাংশ এবং চীনের আরেক প্রতিষ্ঠান এইচটিজি ১০ শতাংশের মালিক। চুক্তিতে ৪৫ মাসের মধ্যে প্রকল্প শেষ করার বাধ্যবাধকতা ছিল। সে হিসেবে ২০১৯ সালের ১৬ নভেম্বর কেন্দ্রটিতে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরুর কথা। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়ায় পরে সময় বাড়ানো হয়। চুক্তি অনুযায়ী পিডিবি ২৫ বছর ধরে এ কেন্দ্রে উৎপাদিত সব বিদ্যুৎ কিনবে।

আমদানিনির্ভর কয়লা হবে এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি। কয়লা নামানোর জন্য বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাশে সাগরে নির্মাণ করা হয়েছে একটি বড় জেটি। প্রাথমিকভাবে ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা আমদানির সব প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে। তবে বিকল্প হিসেবে অস্ট্রেলিয়া থেকেও কয়লা আমদানির ব্যবস্থা রয়েছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও সংবাদ
© All rights reserved © 2022
Customized By chattogramsangbad