সংবাদ ডেস্ক : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, দেশের সব রাজনৈতিক দলের রাজনীতি করার অধিকার আছে, এরকমই বার্তা দিয়েছেন মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক মার্কিন এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু। এ বার্তা তিনি বাংলাদেশের প্রতি দিয়েছেন বলে মন্ত্রী ইঙ্গিত করেন।
র্যাবের নিষেধাজ্ঞা ইস্যুতে মার্কিন সহকারি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, চলমান সংস্কার কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে র্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
রবিবার(১৫ জানুয়ারী) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সফরত মার্কিন সহকারি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপের বিষয়ে আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল সাংবাদিকদের এসব জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১০ ডিসেম্বর আমরা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের (বিএনপি) সমাবেশের ব্যবস্থা করে দিয়েছি, এজন্য তারা (যুক্তরাষ্ট্র) খুশি। তারা (যুক্তরাষ্ট্র) বলেছে সবার রাজনীতি করার অধিকার আছে, আমরা বলেছি আমরা সেটা মানি। সে জন্য তারা (বিএনপি) শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি করছে। সেগুলোতে আমাদের কোনো বাধা নেই।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিএনপির রাজনৈতিক কর্মসূচি বিষয়ে বলেন, তারা যদি জনগণের সম্পদ নষ্ট করে, ফায়ার ওপেন করে কিংবা রাস্তাঘাট বন্ধ করে তখন আমরা নিষেধ করি। অন্যথায় তারা মুক্ত। তারা রাজনৈতিক দল, তারা মত প্রকাশ করতে পারে। ১০ ডিসেম্বর তারা যেমন প্রোগ্রাম করেছে, কিছুদিন আগেও করেছে, এটা সবার জন্যই ফ্রি।
র্যাবের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বার্তা বিষয়ে আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তাদের দেশে এটি প্রক্রিয়া। এটা একটু সময় নিতে পারে। তবে আমরা যে প্রক্রিয়ায় অ্যাডভান্স হচ্ছি, আমার মনে হয় এটা ভবিষ্যতে ক্লিয়ার হয়ে যাবে। এমন একটা ইঙ্গিত দিয়েছে।
কবে নাগাদ নিষেধাজ্ঞা উঠতে পারে— এ বিষয়ে কোনো বার্তা আছে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, টাইম ফ্রেম দেয়নি। তবে প্রক্রিয়াটা সম্পন্ন করতে হবে। আমরা মনে হয়, আমরা সঠিক পথে আছি। তারা বলেছে, তোমরা যে পথে এগোচ্ছ সেটাই সত্যিকারের পথ। র্যাবের সংস্কার নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, তারা আমাদের বর্তমান কর্মকাণ্ডে খুশি। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী যেভাবে কাজ করছে, এটা নিয়ে তারা সন্তুষ্ট। তারা বলেছে, অনেক অগ্রগতি হয়েছে। তারা বলেছে, এ অগ্রগতি যেন সবসময় থাকে।
নির্বাচন নিয়ে আলোচনার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা আগেই বলে দিয়েছি, প্রধানমন্ত্রী চাইছেন একটা সুষ্ঠু নির্বাচন। সেজন্য প্রধানমন্ত্রী কাজ করছেন। প্রধানমন্ত্রী কাউকে বাধা দিচ্ছেন না মতামত প্রকাশ করার জন্য। নির্বাচনের তিন মাস আগে সব কিছু নির্বাচন কমিশনের কাছে চলে যাবে। তারা সবকিছু কন্ট্রোল করবেন। তার আগ পর্যন্ত যেন শান্তিপূর্ণ পরিবেশ থাকে সেজন্য প্রধানমন্ত্রী আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন এবং আমরা সে অনুযায়ী কাজ করছি।
Leave a Reply