নিজস্ব প্রতিবেদক : কর্ণফুলী নদী রক্ষায় নদীর তীরে নতুন করে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। এসময় আটটি পাকা ঘর ও দুইটি ঝুপড়ি ঘর উচ্ছেদ করা হয়। শুক্রবার(২০ জানুয়ারি) নগরীর ফিশারীঘাট এলাকায় অভিযান চালান জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নু-এমং মারমা মং এবং বাকলিয়ার ভূমি কর্মকর্তা জামিউল হিকমা। জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, কর্ণফুলী নদীর ফিশারিজ ঘাট এলাকায় নদীর তীর দখল করে নতুনভাবে স্থাপনা করছে এমন গোপন সংবাদ এর ভিত্তিতে জেলা প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার সত্যতা পায়। এসময় নতুনভাবে গড়ে ওঠা আটটি পাকা স্থাপনা ও দুইটি ঝুপড়ি ঘর ভেঙে উচ্ছেদ করে নদীর তীর দখলমুক্ত করা হয়।
জানতে চাইলে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নু-এমং মারমা মং সাংবাদিকদের বলেন, রাতের আঁধারে নদীর তীর দখল করে একটা মহল বেশকিছু স্থাপনা করেছে। সংবাদ পেয়ে আমরা সকালে এসে সেসব স্থাপনা উচ্ছেদ করেছি।
তিনি আরও বলেন, নদীর তীরে অবৈধ দখলকারী কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। নদ-নদীর পাড় পাবলিক ট্রাষ্ট সম্পত্তি বা জনগণের সম্পত্তি। নদীর পরিবেশগত ভারসাম্য ও টেকসই ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসনের অবৈধ উচ্ছেদ কার্যক্রম অব্যহত থাকবে। চট্টগ্রাম বন্দরের ধারক কর্ণফুলী নদী দখল চলছে দীর্ঘদিন ধরে। নদী দখলমুক্ত করতে বিভিন্ন সময় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এর মধ্যেই গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা।
Leave a Reply