নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ৫টি ওয়ার্ডের আইডি ব্যবহার করে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের সার্ভারে প্রবেশ করে ৫৪৭টি জন্মসনদ ইস্যুর ঘটনায় ৫ জনকে আটক করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। সোমবার (২৩ জানুয়ারি) নগরীর ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড ও ৪০ নম্বর ওয়ার্ড এলাকা থেকে তাঁদের আটক করা হয়। বিষয়টি সিএমপির পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হলেও আটককৃতদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। সিএমপির কর্মকর্তারা বলছেন, আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে।
চসিক সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ থেকে ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ের মধ্যে চসিকের ৩৮,৪০, ৩২,১১ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের আইডি ব্যবহার করে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের সার্ভারে প্রবেশ করে ৫৪৭টি জন্মসনদ ইস্যুর ঘটনা ঘটে। গত শনিবার (২১ জানুয়ারি) বিষয়টি জানাজানি হয়। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের পক্ষ থেকে থানাগুলোতে জিডি করা হয়। এরপর সোমবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে কাউন্সিলর ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। বৈঠকে মেয়র ইন্টারনেট নির্ভর সেবা খাতের নিরাপত্তা বাড়ানো এবং হ্যাকিং নিয়ে সতর্কতার সঙ্গে পদক্ষেপ নেওয়ার আদেশ দেন।
চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘হ্যাকিংটির ভুক্তভোগী চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন হলেও মূলত হ্যাকিং হয়েছে ঢাকার সার্ভারে। এ বিষয়টি জানার পরই আমরা থানায় সাধারণ ডায়েরি ও মামলা করেছি। প্রয়োজনে এ ব্যাপারে মেয়রের নির্দেশে কাউন্সিলরদের নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে পৃথক কমিটি গঠন করব।’
চসিকের আইটি সেলের প্রোগ্রামার মোহাম্মদ ইকবাল হাসান বলেন, ‘৫টি ওয়ার্ডের আইডি হ্যাকের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডগুলোর পক্ষ থেকে ৫টি মামলা দায়েরের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
সিএমপির (চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ) কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) আসিফ মহিউদ্দীন বলেন, ‘আইডি হ্যাকের ঘটনাটি আমরা গুরুত্ব সহকারে নিয়েছি। ইতিমধ্যে আমরা তদন্ত শুরু করেছি। আইডি হ্যাক করে জন্মনিবন্ধন সনদ ইস্যুর ঘটনা চট্টগ্রামে নতুন নয়। এর আগেও এ নিয়ে পতেঙ্গা ও চকবাজার থানায় পৃথক ৩টি মামলা হয়েছে। ওই মামলাগুলো তদন্ত করছেন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম বিভাগ। ওই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় কাউন্টার টেররিজম কয়েক জন আসামিকে গ্রেপ্তার করে। মামলাগুলো বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে। ’
Leave a Reply