নিজস্ব প্রতিবেদক : সম্প্রতি জন্মনিবন্ধন নিয়ে জালিয়াতি ধরা পড়ার পর চসিক ১৪ নম্বর লালখান বাজার ওয়ার্ডের জন্ম নিবন্ধন সহকারী পিযুষ ঘোষ নিজ ওয়ার্ডে তদারকি করে বুঝতে পারেন তার আইডি থেকে ২৫০টি জন্মসনদ দেয়া হয়েছে তার অজান্তে।
দীর্ঘদিন ধরে জন্মসনদ নিয়ে কাজ করা এ নিবন্ধন সহকারীর দাবি, সবগুলো ওয়ার্ডের আইডি হ্যাক করে নয় বরং কোনো একটি মাস্টার আইডি থেকে ওয়ার্ড কার্যালয়ের সার্ভারে প্রবেশ করে অবৈধ এসব কাজ করছে জালিয়াত চক্র।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রেজাউল করিম বলেন, কেন্দ্রীয় কিংবা স্থানীয় সার্ভারে প্রবেশ করেই এই কাজটি হয়ে থাকতে পারে। কারণ একজনের পক্ষে এতোগুলো আইডি হ্যাক করে এ কাজ করা সম্ভব নয়।
একই বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হানিফ সিদ্দিকী বলেন, সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে দেখা দরকার। যদি কোন সফটওয়ারের দুর্বলতা থাকে সেগুলো দূর করা দরকার বলে পরামর্শ দেন তিনি।
এদিকে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত যাদের গ্রেপ্তার করা হয় তাদের সবাই ওয়ার্ড কার্যালয়ের আশপাশে কম্পিউটার, ফটোকপি বা প্রিন্টিং ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত। যারা কেবল গ্রাহকদের সঙ্গে মধ্যস্থতার মাধ্যমে টাকা নেন। তাই বিভিন্ন ওয়ার্ডে এখন চালানো হচ্ছে সচেতনতামূলক প্রচারণা।
এছাড়া জালিয়াতি ধরা পড়ায় এখন ৬টি ওয়ার্ডে নিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন অনেকেই।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, দ্রুত জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম চালুর পাশাপাশি সব ওয়ার্ডে জালিয়াতি খুঁজতে তদারকি করা হচ্ছে।
গত ৯-২২ জানুয়ারি পর্যন্ত চট্টগ্রামের ৬টি ওয়ার্ডের সার্ভার জালিয়াতি করে হাজার হাজার জন্ম নিবন্ধন সনদ দেয় জালিয়াত চক্র।
Leave a Reply