নিজস্ব প্রতিবেদক : নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানা এলাকায় পুলিশের অভিযানকালে এক আসামির মৃত্যু হয়েছে। তার নাম মো. নাসির উদ্দিন ওরফে কসাই নাসির (৫৫)। তিনি বায়েজিদের পশ্চিম শহীদ নগর এলাকার মৃত বজল আহমদের ছেলে। শুক্রবার(৩রা ফেব্রুয়ারী) ভোরে বায়েজিদের শহীদ নগর এলাকায় চুরির মামলার ওই আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান চালানোর সময় আসামির মৃত্যু হয়েছে। চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা এই অভিযান চালায়। পুলিশ বলছে, হৃদরোগে তার মৃত্যু হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তৈয়ব মোহাম্মদ আরিফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ফটিকছড়িসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে গরু চুরি বেড়েছে। গ্রেফতার এক আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে কসাই নাসিরের নাম আসে। এজন্য জেলা গোয়েন্দা পুলিশ তাকে ধরতে শহিদনগর এলাকায় তার বাসায় যায়। কিন্তু পুলিশ বাসায় প্রবেশ করার আগেই তার স্বজনেরা চিৎকার শুরু করেন। তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুড়তে থাকেন। এতে সাধন বিকাশ চাকমা নামে বায়েজীদ বোস্তামী থানার এক কনস্টেবল আহত হন। ইতিমধ্যে নাসিরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। পুলিশ তাকে না ধরে চলে আসে।
নাসিরের স্বজনেরা বলেন, তাকে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বাসার পাশের পুকুর থেকে নাসিরের লাশ উদ্ধার করা হয়। সেখান থেকে হাসপাতালে নেয়া হয়। জানা গেছে, পুলিশ আসামি ধরতে দরজা ভাঙতে গেলে অভিযুক্ত জানালা দিয়ে পালিয়ে পুকুরে ঝাঁপ দেন।
নাছিরের ছেলে ইফতেখার উদ্দিন বলেন, গভীর রাতে বাড়ির পেছনের দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকে পুলিশ। কোন মামলায়, কে নাকি জবানবন্দিতে গরু চুরির বিষয়ে বাবার নাম বলেছে। এর ভিত্তিতে পুলিশ তাঁকে ধরতে এসেছে। এভাবে কেউ কারও নাম বললেই যাচাই ছাড়া গ্রেপ্তার করা যায়? তিনি আরও বলেন, পুলিশের সঙ্গে কথা বলার সময় বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি আগে থেকে হৃদরোগী, হার্টে একটি রিং পরানো। পুলিশের কর্মকাণ্ডে ঘাবড়ে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
নাছিরের বোন জামাই শহীদুল ইসলামের অভিযোগ, অভিযানে আসা পুলিশ সদস্যরা বাসার জানালার কাচ ও দরজা ভাঙচুর করেন। আসামি গ্রেপ্তারের নামে তাঁরা তাণ্ডব চালান।
Leave a Reply